কক্সবাজার (Cox's Bazar)
কক্সবাজার
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্হিত
একটি পর্যটন
শহর।
এটি চট্টগ্রাম বিভাগের
কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত। কক্সবাজার
তার নৈসর্গিক
সৌন্দর্য্যের জন্য বিখ্যাত। এখানে
রয়েছে বিশ্বের
দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন
প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত যা
কক্সবাজার শহর থেকে বদরমোকাম পর্যন্ত
একটানা ১২০
কি.মি.
পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে
রয়েছে বাংলাদেশের
বৃহত্তম সামুদ্রিক
মৎস্য বন্দর
এবং সাবমেরিন
ক্যাবল ল্যান্ডিং
স্টেশান।
কক্সবাজার
চট্টগ্রাম শহর থেকে ১৫২ কিঃমিঃ
দক্ষিণে অবস্হিত।
ঢাকা থেকে
এর দূরত্ব
৪১৪ কি.মি.।
এটি বাংলাদেশের
সবচেয়ে বড়
পর্যটন কেন্দ্র।
দেশের রাজধানী
ঢাকা থেকে
সড়ক পথে
এবং বাসযোগে
কক্সবাজার যাওয়া যায় চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার
অবধি রেললাইন
স্থাপনের প্রকল্প
গৃহীত হয়েছে
নামকরণ
আধুনিক কক্সবাজারের নাম রাখা হয়েছে ল্যাঃ কক্স (মৃত্যু ১৭৯৮) এর নামানুসারে যিনি ব্রিটিশ আমলে ভারতের সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন। এককালে কক্সবাজার পানোয়া নামেও পরিচিত ছিল যার আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে হলুদ ফুল। এর আরো একটি প্রাচীন নাম হচ্ছে পালঙ্কি।পর্যটন আকর্ষণ
পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত অনেক হোটেল, বাংলাদেশ পর্যটন কেন্দ্র নির্মিত মোটেল ছাড়াও সৈকতের নিকটেই দু’টি পাঁচতারা হোটেল রয়েছে। এছাড়া এখানে পর্যটকদের জন্য গড়ে উঠেছে ঝিনুক মার্কেট। সীমান্তপথে মিয়ানমার (পূর্ব নাম - বার্মা), থাইল্যান্ড, চীন প্রভৃতি দেশ থেকে আসা বাহারি জিনিসপত্র নিয়ে গড়ে উঠেছে বার্মিজ মার্কেট।কক্সবাজারে বিভিন্ন উপজাতি বা নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী বাস করে যা শহরটিকে করেছে আরো বৈচিত্র্যময়। এইসব উপজাতিদের মধ্যে চাকমা সম্প্রদায় প্রধান। কক্সবাজার শহর ও এর অদূরে অবস্থিত রামুতে রয়েছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের পবিত্র তীর্থস্থান হিসেবে বৌদ্ধ মন্দির। কক্সবাজার শহরে যে মন্দিরটি রয়েছে তাতে বেশ কিছু দুর্লভ বৌদ্ধ মূর্তি আছে। এই মন্দির ও মূর্তিগুলো পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ ও কেন্দ্রবিন্দু। কক্সবাজারে শুধু সমুদ্র নয়, আছে বাঁকখালী নামে একটি নদীও। এই নদীটি শহরের মৎস্য শিল্পের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কক্সবাজার বাংলাদেশের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর স্থান হিসেবে বিখ্যাত।
লাবণী পয়েন্ট
কক্সবাজার শহর থেকে নৈকট্যের কারণে লাবণী পয়েন্ট কক্সবাজারের প্রধান সমুদ্র সৈকত বলে বিবেচনা করা হয়। নানারকম জিনিসের পসরা সাজিয়ে সৈকত সংলগ্ন এলাকায় আছে ছোট বড় অনেক দোকান যা পর্যটকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ।হিমছড়ি
হিমছড়ি কক্সবাজারের ১৮ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থিত। ভঙ্গুর পাহাড় আর ঝর্ণা এখানকার প্রধান আকর্ষণ। কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি যাওয়ার পথে বামদিকে সবুজঘেরা পাহাড় আর ডানদিকে সমুদ্রের নীল জলরাশি মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের সৃষ্টি করে। বর্ষার সময়ে হিমছড়ির ঝর্ণাকে অনেক বেশি জীবন্ত ও প্রাণবন্ত বলে মনে হয়। হিমছড়িতে পাহাড়ের চূড়ায় একটি রিসোর্ট আছে যেখান থেকে সাগরের দৃশ্য অপার্থিব মনে হয়।অর্থাৎ এখান থেকে সম্পূর্ণ সমুদ্র এক নজরে দেখা যায়। হিমছড়ির প্রধান আকর্ষণ এখানকার ক্রিসমাস ট্রি। সম্প্রতি হিমছড়িতে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু পর্যটন কেন্দ্র ও পিকনিক স্পট।ইনানী সমুদ্র সৈকত
দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত ছাড়াও কক্সবাজারে সৈকত সংলগ্ন আরও অনেক দর্শনীয় এলাকা রয়েছে যা পর্যটকদের জন্য প্রধান আকর্ষণের বিষয়। সৈকত সংলগ্ন আকর্ষণীয় এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছ, ইনানী সমুদ্র সৈকত যা কক্সবাজার থেকে ৩৫ কি.মি দক্ষিণে অবস্থিত। অভাবনীয় সৌন্দর্যে ভরপুর এই সমুদ্র সৈকতটি কক্সবাজার থেকে রাস্তায় মাত্র আধঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত। পরিষ্কার পানির জন্য জায়গাটি পর্যটকদের কাছে সমুদ্রস্নানের জন্য উৎকৃষ্ট বলে বিবেচিত।ইতিহাস
নবম শতাব্দীর গোড়ার দিক থেকে ১৬১৬ সালে মুঘল অধিগ্রহণের আগে পর্যন্ত কক্সবাজার-সহ চট্টগ্রামের একটি বড় অংশ আরাকান রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত ছিলো। মুঘল সম্রাট শাহ সুজা পাহাড়ী রাস্তা ধরে আরাকান যাওয়ার পথে কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন এবং এখানেই ক্যাম্প স্থাপনের আদেশ দেন। তার যাত্রাবহরের প্রায় একহাজার পালঙ্কী কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা নামের স্থানে অবস্থান নেয়। ডুলহাজারা অর্থ হাজার পালঙ্কী। মুঘলদের পরে ত্রিপুরা এবং আরকান তার পর পর্তুগিজ এবং ব্রিটিশরা এই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়।কক্সবাজার নামটি এসেছে ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স নামে ব্রিটিশ এক অফিসারের নাম থেকে। কক্সবাজারের আগের নাম ছিল পালংকি। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অধ্যাদেশ, ১৭৭৩ জারি হওয়ার পর ওয়ারেন্ট হোস্টিং বাঙলার গভর্ণর হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। তখন হিরাম কক্স পালংকির মহাপরিচালক নিযুক্ত হন। ক্যাপ্টেন কক্স আরাকান শরণার্থী এবং স্থানীয় রাখাইনদের মধ্যে বিদ্যমান হাজার বছরেরও পুরানো সংঘাত নিরসনের চেষ্টা করেন। এবং শরণার্থীদের পুণর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধন করেন কিন্তু কাজ পুরোপুরি শেষ করার আগেই মারা (১৭৯৯) যান। তার পূর্নবাসন অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং এর নাম দেয়া হয় কক্স সাহেবের বাজার। কক্সবাজার থানা প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৫৪ সালে এবং পৌরসভা গঠিত হয় ১৮৬৯ সালে
A tourist city located in southeastern Cox's Bazar, Bangladesh. It is in the district of Cox's Bazar, Chittagong Division. Cox is known for its natural beauty. Here's the world's longest natural sandy sea beach, which is breaking up badaramokama continuous 120 km from the town of Cox's Bazar There is broad. Here is the country's largest marine port and submarine cable landing fish stesanaabasthanakaksabajara 15 km south of the city, located in Chittagong. .. Distance of 414 km from Dhaka It is the biggest tourist attractions. The road from the capital Dhaka and Chittagong and Cox's Bazar to basayoge Cox yaya to establish a railway line project adopted hayeche
Cox has been named after the latter lyah Cox (died 1798), was named after the British officer in the Indian army. Panoya Cox was once known as the yellow flowers, literally. Palankiparyatana attraction is the ancient name of a tourism industry that has developed here in many organizations. Many built private hotel, motel built in Bangladesh tourist center near the beach, there are two hotels. The oyster market has developed for tourists. Border of Myanmar (former name - Burma), Thailand, China and other countries to come to the party belongings is made up of different tribes or ethnic Burmese marketakaksabajare theoretical population in the city, which has a more diverse. These tribes, the chief of the Chakma community. Ramu in Cox's Bazar town and is located near the Buddhist temple as a Buddhist sacred place of pilgrimage. Cox is the house that the town has several rare Buddhist statues. One of the attractions for tourists and the center of the temple and idols. Cox is not just the sea, there is a River also called Bakkhali. This river is very important for the fisheries industry. Cox's Bazar, Bangladesh is the most healthy place bikhyatalabani points Laboni point of closeness to the city of Cox's Bazar beach is considered. To adjust to the varying renditions of things, a lot of small shops in the area adjacent to the beach, which is an additional attraction for tourists. Cox, 18 km Himchharhi Himchharhi Located in the south. The main attraction of fragile mountains and waterfalls. Himchharhi from Cox's Bazar to the left side of the hill and to the right of the blue ocean waters sabujaghera creates captivating scene. During the rainy season is much more lively and animated seems jharnake Himchharhi. Himacharite sea view from the top of the hill where there is a resort feel weird hayaarthat from the entire sea can be seen at a glance. The main attraction of the Christmas tree Himchharhi. Several tourist attractions have been built in recent himacharite and picnic spots. In addition to the long beach of Cox's Bazar beach inani more spectacular area adjacent to the beach, which is a major attraction for tourists. Adjacent to the beach are in attractive neighborhoods, inani 35 km from the beach, which is located south of Cox's Bazar. Full of unthinkable beauty, just half an hour away from the street to the beach located at Cox's Bazar. Clean drinking water is considered to be a better place for tourists samudrasnanera. The history of the early ninth century Mogul in 1616 until the acquisition of Cox's Bazar, Chittagong, including a large part of it was incorporated in the state of Arakan. Mughal emperor Shah Shuja on the way hilly roads in Arakan Cox was impressed with the natural beauty and ordered to set up camps here. More than a thousand of its yatrabaharera palanki chakaria dulahajara Cox takes the name of the place. Dulahajara palanki of money. After the Mughals, Portuguese and British Tripura and Arkan then took control of the area. The name of Captain Hiram Cox's Bazar to name a British officer. Cox's previous name was palanki. The British East India Company Ordinance, 1773, after being issued an arrest warrant was appointed as the Governor of Bengal hosting. Hiram Cox was appointed director general of the palankira. Captain Cox Arakan refugees and local Rakhine tried to resolve conflicts between the existing thousands of years old. And refugees punarbasane significant progress, but died before he could finish the job perfectly (1799) Go. Purnabasana remembered his contribution to the establishment of a market and was given the name of Cox's Bazar. Cox's Bazar police station was first established in 1854 and is composed of the municipalities in 1869)
No comments:
Post a Comment